জার্মানি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করছে: নিরাপত্তা নীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন

সম্পাদনা করেছেন: Dmitry Drozd

জার্মানি তার নিরাপত্তা নীতি ও সংকট মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি নতুন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (NSR) প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। আগামী আগস্ট ২৭, ২০২৫ তারিখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং আগস্ট ২৮, ২০২৫ থেকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে। এই সংস্থাটি বিদ্যমান ফেডারেল নিরাপত্তা পরিষদ এবং নিরাপত্তা ক্যাবিনেটের স্থান নেবে এবং জার্মানির নিরাপত্তা কাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে।

নতুন এই পরিষদে ফেডারেল চ্যান্সেলর সভাপতিত্ব করবেন এবং তার সাথে থাকবেন অর্থ, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, বিচার, অর্থনীতি, উন্নয়ন ও ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রীগণ, সেইসাথে চ্যান্সেলরের কার্যালয়ের প্রধান। প্রয়োজন অনুযায়ী ফেডারেল রাজ্যগুলির প্রতিনিধি, ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বহিরাগত বিশেষজ্ঞরা এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। NSR-এর মূল লক্ষ্য হলো নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য একত্রিত করা, সমন্বিত পরিস্থিতি প্রতিবেদন তৈরি করা এবং সরকারের সংকট মোকাবিলা ও নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা উন্নত করার জন্য কৌশলগত পূর্বাভাস প্রদান করা। এই পদক্ষেপটি জার্মানির নিরাপত্তা নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনছে, যা ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক হুমকির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য দেশটির নিরাপত্তা স্থাপত্যকে আধুনিকীকরণের একটি প্রচেষ্টা। চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ২০২৯ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ৩.৫%-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছেন, যা ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এবং ইউরোপের পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই NSR প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জার্মানি তার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আরও সুসংহত ও কার্যকর করতে চাইছে, যা অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয় থেকে শুরু করে ডিজিটাল ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলা করবে।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • ZDF heute

  • Beck-Online

  • n-tv

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।