যুক্তরাষ্ট্রের দুই সিনিয়র সেনেটর, রজার উইকার এবং দেব ফিশার, তাইওয়ানের নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ২৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে তাইপে সফর করেন। এই সফরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের FY2026 ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (NDAA)-এর অধীনে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবগুলির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার জন্য অনুষ্ঠিত হয়। এই পদক্ষেপটি চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিফলন।
চীনের দূতাবাস এই সফরের বিরোধিতা করে সেনেটরদের এটি বাতিল করার আহ্বান জানায়, যা তাইওয়ান প্রণালীতে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রধান আন্তর্জাতিক সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে তার ভূমিকা বজায় রেখেছে। এই সফরের মাধ্যমে, সেনেটররা 'শান্তির মাধ্যমে শক্তি' নীতির উপর জোর দেন, যা তাইওয়ানের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেয়।
FY2026 NDAA-এর জন্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবিত বাজেট তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই আইনটি তাইওয়ানকে আরও শক্তিশালী করতে এবং চীনের যেকোনো আগ্রাসন প্রতিহত করতে সহায়তা করবে। এই প্রেক্ষাপটে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়।
ঐতিহাসিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রেখেছে, যা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের 'শান্তির মাধ্যমে শক্তি' নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। যদিও চীন তাইওয়ানকে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয়, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সফরের মাধ্যমে, দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এবং এই অঞ্চলে একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উচ্চ-পর্যায়ের সফর এবং প্রতিরক্ষা আইন তাইওয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও নেতৃত্বকে আরও সুসংহত করে। চীনের প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।