ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি, একে অপরকে দোষারোপ

সম্পাদনা করেছেন: user2@asd.asd user2@asd.asd

জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে সীমান্ত পেরিয়ে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ তুলেছে। ভারত দাবি করেছে যে তারা পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোন এবং গোলাবর্ষণের প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত লঙ্ঘন এবং বেসামরিক হতাহতের জন্য দায়ী করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র আর্টিলারি বিনিময় হয়েছে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ভারতীয় দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইরান সহ আন্তর্জাতিক মহল উত্তেজনা প্রশমন এবং যাচাইকৃত তথ্যের উপর নির্ভর করার জন্য উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছে, কারণ ভুল তথ্যের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ একটি বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উভয় দেশ তাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের স্তরে যোগাযোগ বজায় রেখেছে।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, যেমন মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, যা প্রায় চার দিন ধরে চলেছিল এবং এতে উভয় পক্ষে ৭০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল, তা এই দুই দেশের মধ্যেকার উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এই সংঘাতের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ভারত তার দীর্ঘদিনের অবস্থান বজায় রেখেছে যে, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করা উচিত এবং তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে চলা উচিত।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া কিছু মন্তব্য নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এটিকে 'পারমাণবিক মহড়া' বলে অভিহিত করেছে। পাকিস্তান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে তারা একটি দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বেসামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভারত সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা আর জাতীয় স্বার্থের সাথে আপস করবে না। মে মাসের সংঘাতের পর ভারত তার নিজস্ব প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভর করে দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। এই ঘটনাগুলি আত্মনির্ভরশীলতার উপর জোর দিয়েছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ও শিল্প খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রেক্ষাপটে, ভারত সরকার দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে এবং আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি, এ... | Gaya One