অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই আইনটি তরুণ প্রজন্মের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। এটি সম্ভবত ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ কার্যকর হবে এবং এর ফলে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলির উপর বড় ধরনের জরিমানা হতে পারে।
এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল তরুণদের অনলাইনে সুরক্ষা প্রদান করা এবং সামাজিক মাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাবগুলি কমানো। তবে, প্রযুক্তি সংস্থাগুলি এবং কিছু বিশেষজ্ঞ এই আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে বয়স যাচাইকরণ পদ্ধতি এবং গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
এই আইনের অধীনে, সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলিকে ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করা থেকে বিরত রাখতে হবে। এর মধ্যে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ বা সরকারি পরিচয়পত্রের মতো ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই উন্নয়ন অন্যান্য দেশেও অনুরূপ বিধি তৈরি করতে উৎসাহিত করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা বাড়িয়ে তোলে। অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা অনুসারে, সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় কাটানো কিশোর-কিশোরীদের ঘুমের সমস্যা এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রেও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারণে, এই ধরনের পদক্ষেপ তরুণ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, এই নিষেধাজ্ঞা শিশুদের অনলাইনে হয়রানি এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক বিষয়গুলি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর কৌশল প্রয়োজন। অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা অন্যান্য দেশগুলিকেও অনুরূপ পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে।