ইরান ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা

সম্পাদনা করেছেন: user2@asd.asd user2@asd.asd

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ২৫শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির (ইউরোপীয় trio বা E3) সাথে নতুন আলোচনায় বসবে। এই বৈঠকটি গত জুন মাসে ইরানের ভূখণ্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত হামলার পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আলোচনায় ইরানের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী (আইনি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক) কাজেম গরিব آبادی এবং উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী (রাজনৈতিক বিষয়ক) আলি বাঘেরি কানি উপস্থিত থাকবেন। এটি পূর্ববর্তী আলোচনার একটি ধারাবাহিকতা, যা গত মে মাসে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে একটি সাধারণ ভিত্তি স্থাপন করা। বর্তমানে, কয়েকটি মূল মতবিরোধের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে, বিশেষ করে ইরানের ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রস্তাবিত 'স্ন্যাপব্যাক' (snapback) পদ্ধতির উপর ইরানের অবস্থান। এই পদ্ধতিটি কার্যকর হলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করা হবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৫ সালে ইরান এবং পি৫+১ (P5+1) গোষ্ঠীর মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তিটি ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের পর থেকে উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, ইরান চুক্তি থেকে তার প্রতিশ্রুতিগুলি হ্রাস করেছে, যখন ইউরোপীয় দেশগুলি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সম্প্রতি ইউরোপীয় দেশগুলির 'স্ন্যাপব্যাক' পদ্ধতি প্রয়োগের কোনও আইনি ভিত্তি অস্বীকার করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে এই দেশগুলি "পারমাণবিক চুক্তির ভিত্তি দুর্বল করেছে এবং কার্যত এর সুবিধাগুলি বাতিল করেছে"।

এই বৈঠকটি ইরান এবং ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি পারমাণবিক চুক্তিকে সম্পূর্ণ পতন থেকে রক্ষা করার একটি সুযোগ হিসাবে দেখা হচ্ছে, যেখানে পারস্পরিক চ্যালেঞ্জগুলির উপর আলোচনা কেন্দ্রীভূত হবে। অতিরিক্ত তথ্য হিসাবে, 'স্ন্যাপব্যাক' প্রক্রিয়াটি ২০১৫ সালের জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (JCPOA) চুক্তির একটি অংশ, যা ইরান পারমাণবিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় আরোপ করার অনুমতি দেয়। এই প্রক্রিয়াটি অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যার পরে এটি মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। ইরান চীন ও রাশিয়ার সাথে এই 'স্ন্যাপব্যাক' প্রক্রিয়া প্রতিরোধে সহযোগিতা করছে এবং ইউরোপীয় দেশগুলির এই ধরনের পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

উৎসসমূহ

  • جريدة زمان التركية

  • HuffPost España

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।

ইরান ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পারমাণবিক ক... | Gaya One