চীনের তিয়ানওয়েন-৩ মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের (MSR) মিশন ২০২৮ সালের উৎক্ষেপণের পথে রয়েছে, যেখানে ২০৩০ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে নমুনা প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই মহাকাঙ্ক্ষী অভিযান মঙ্গলের জীবনের নিদর্শন অনুসন্ধান, মঙ্গলের ভূতত্ত্ব অধ্যয়ন এবং গ্রহের বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণের লক্ষ্যে Martian নমুনা সংগ্রহ করবে। এটি আমাদের মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যেমনটি দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি সাহিত্য ও বিজ্ঞানচর্চায় নতুন চিন্তার সঞ্চার ঘটিয়েছে।
চীন জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (CNSA) তিয়ানওয়েন-৩ মিশনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সুযোগ খুলে দিয়েছে, বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের বৈজ্ঞানিক পে-লোড প্রদান করার আহ্বান জানিয়েছে। মিশনটিতে একটি ল্যান্ডার, উত্থানযান, সেবা মডিউল, অরবিটার এবং প্রত্যাবর্তন মডিউল রয়েছে, যেগুলো ছয়টি বৈজ্ঞানিক পে-লোড দিয়ে সজ্জিত। ল্যান্ডারটি একটি রোবোটিক বাহু এবং ড্রিল ব্যবহার করে পৃষ্ঠ থেকে এবং দুই মিটার গভীর পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করবে, যা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির গভীরতা ও সূক্ষ্মতার প্রতিফলন।
অন্যদিকে, নাসা তার মঙ্গল নমুনা প্রত্যাবর্তন প্রোগ্রাম পুনর্মূল্যায়ন করছে, কারণ খরচ বৃদ্ধি ও বিলম্ব ঘটছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা, যা প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের বাজেট এবং ২০৪০ সালের প্রত্যাবর্তন লক্ষ্য করেছিল, তা পুনর্বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। নাসা খরচ কমাতে এবং সময়সীমা দ্রুত করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব অনুসন্ধান করছে, ২০৩০-এর দশকে নমুনা প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে।
তিয়ানওয়েন-৩ মিশনের সাফল্য মঙ্গলের প্রতি আমাদের জ্ঞান এবং বহির্জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে। চীনের অগ্রগতি এবং নাসার চ্যালেঞ্জের মধ্যে পার্থক্য মহাকাশ অনুসন্ধানের পরিবর্তিত পরিপ্রেক্ষিত এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক গর্ব ও বৌদ্ধিক সংলাপের সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সূচনা করবে।