এক্সোমার্স রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন রোভার, যা ইউরোপের মহাকাশ অভিযানের এক মহৎ প্রচেষ্টা মঙ্গলগ্রহে জীবনের সন্ধান পাওয়ার জন্য, এখন নির্ধারিত হয়েছে ২০২৮ সালের শেষের দিকে উৎক্ষেপণের জন্য। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) এবং নাসার যৌথ উদ্যোগে এই মিশনের লক্ষ্য ২০৩০ সালে রোভারটি মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করানো।
মূলত রাশিয়ার রসকসমোসের সঙ্গে সহযোগিতায় পরিকল্পিত হলেও, ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে কৌশল পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। রসকসমোসের সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত হওয়ার পর ESA একটি নতুন অবতরণ প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পায়। নাসা গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে উৎক্ষেপণযান এবং প্রপালশন সিস্টেমের কিছু উপাদান।
নতুন অবতরণ প্ল্যাটফর্মটি এয়ারবাস তৈরি করছে, যা পূর্বের রাশিয়ান ল্যান্ডার ডিজাইনের পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে। রোভারটি মার্স অর্গানিক মলিকিউল অ্যানালাইজার (MOMA) এর মতো যন্ত্রপাতি বহন করবে, যা জৈব যৌগ শনাক্ত করতে সক্ষম। এটি বিজ্ঞানীদের মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে দুই মিটার গভীরতা পর্যন্ত খুঁড়ে নেওয়া নমুনার মাধ্যমে সম্ভাব্য জীবনের চিহ্ন অনুসন্ধানে সাহায্য করবে।
এই সহযোগিতা আন্তর্জাতিক মহাকাশ অনুসন্ধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। মিশনের সফলতা মঙ্গলগ্রহ এবং পৃথিবীর বাইরে জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বিপ্লবী পর্যায়ে উন্নীত করতে পারে। এ ধরনের বৈজ্ঞানিক সাফল্য আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে, বাঙালি বুদ্ধিজীবী সমাজের জন্য গর্বের বিষয়, যা জ্ঞানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল এবং আবেগপূর্ণ।