মালয়েশিয়া দ্রুত তাদের উৎপাদন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংহত করছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। এই কৌশলগত পদক্ষেপ বৃহত্তর ডিজিটাল রূপান্তর উদ্যোগের অংশ, যেখানে সরকার এআই-চালিত অটোমেশন এবং স্মার্ট ফ্যাক্টরি প্রযুক্তির গ্রহণকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে।
মালয়েশিয়া ডিজিটাল ইকোনমি কর্পোরেশন (এমডিসি) স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে এই পরিবর্তনে সহায়তা করার জন্য অনুদান এবং প্রোগ্রাম সরবরাহ করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সরকারের নিউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল মাস্টার প্ল্যান ২০৩০ (এনআইএমপি ২০৩০) স্মার্ট উৎপাদন, ই-কমার্স এবং জৈবপ্রযুক্তি-এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার কৌশলগুলির উপর জোর দেয়, যা মালয়েশিয়ার শিল্প ৪.০ এবং এর উৎপাদন খাতে টেকসই উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।
এই প্রযুক্তিগত উল্লম্ফন মালয়েশিয়ার উৎপাদন ক্ষেত্রকে নতুন রূপ দিতে প্রস্তুত, যা এর বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে এবং আরও দক্ষ ও উদ্ভাবনী শিল্প বাস্তুতন্ত্র তৈরি করবে।
মালয়েশিয়ার এই এআই যাত্রা দেশের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলছে। উদাহরণস্বরূপ, এআই-এর ব্যবহারের ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, তবে কর্মীদের নতুন দক্ষতা অর্জনেরও প্রয়োজন হচ্ছে। মালয়েশিয়ার সরকার এই পরিবর্তনের জন্য কর্মীদের প্রস্তুত করতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে।
মালয়েশিয়ার এই এআই যাত্রা কেবল প্রযুক্তিগত উন্নতি নয়, বরং এটি একটি সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের অংশ। এআই-এর সফল বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো, ডেটা সুরক্ষা এবং নৈতিক দিকগুলির প্রতি মনোযোগ দেওয়া অপরিহার্য। মালয়েশিয়া সরকার এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে বিভিন্ন নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মালয়েশিয়ার এই এআই-এর অগ্রযাত্রা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়, যা প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সমাজের মধ্যে একটি সমন্বিত সম্পর্ক স্থাপন করবে।