'টয় স্টোরি' ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে দর্শকদের মনে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত, চলচ্চিত্রটি রটেন টমেটোজে একটি নিখুঁত ১০০% রেটিং বজায় রেখেছে, যা এর দীর্ঘস্থায়ী আবেদন এবং জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়। এই চলচ্চিত্রটি কেবল একটি অ্যানিমেটেড সিনেমা ছিল না, এটি কম্পিউটার-জেনারেটেড ইমেজারি (CGI) প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল, যা পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র শিল্পে বিপ্লব এনেছিল। পিক্সারের এই যুগান্তকারী সৃষ্টি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হওয়ার পাশাপাশি গল্প বলার ক্ষেত্রেও এক নতুন মান স্থাপন করেছিল, যা বিশ্বজুড়ে অসংখ্য শিল্পী ও অ্যানিমেটরকে অনুপ্রাণিত করেছে।
'টয় স্টোরি'-এর অভূতপূর্ব সাফল্য একাধিক সিক্যুয়েলের জন্ম দিয়েছে, যার মধ্যে ২০১৯ সালের 'টয় স্টোরি ৪' অন্যতম। পিক্সার সম্প্রতি 'টয় স্টোরি ৫'-এর ঘোষণা দিয়েছে, যা ১৯ জুন, ২০২৬-এ মুক্তি পাবে। টম হ্যাঙ্কস উডি এবং টিম অ্যালেন বাজ লাইটইয়ারের চরিত্রে ফিরবেন। অ্যান্ড্রু স্ট্যান্টন এই চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসেবে থাকছেন, যিনি 'ফাইন্ডিং নিমো' এবং 'ওয়াল-ই'-এর মতো অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রের জন্যও পরিচিত। তিনি 'টয় স্টোরি' সিরিজের প্রথম চারটি চলচ্চিত্রের সহ-লেখকও ছিলেন। প্রথম 'টয় স্টোরি' বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৯৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল, যেখানে 'টয় স্টোরি ৩' ১০৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে রেকর্ড ভেঙেছিল। সমালোচকরা চলচ্চিত্রটিকে এর কালজয়ী আখ্যান এবং অগ্রগামী অ্যানিমেশনের জন্য প্রশংসা করেছেন।
'টয় স্টোরি' কেবল বক্স অফিসেই সফল হয়নি, এটি একটি সাংস্কৃতিক ঘটনাও ছিল। এর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, গল্প বলার ধরণ এবং সর্বজনীন থিমগুলি এটিকে কেবল একটি বিনোদনমূলক চলচ্চিত্র হিসেবেই নয়, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের মনে গেঁথে থাকা এক ভালোবাসার প্রতীকে পরিণত করেছে। 'টয় স্টোরি ৫' নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে এই জাদু পৌঁছে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গেছে, এই নতুন কিস্তিটি আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব এবং শিশুদের খেলার উপর এর প্রভাবের মতো সমসাময়িক বিষয়গুলিকেও তুলে ধরবে, যা চলচ্চিত্রটিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে।