বিজয় দেবেরাকোন্ডা অভিনীত এবং গৌতম তিন্নানুরির পরিচালনায় বহু প্রতীক্ষিত স্পাই অ্যাকশন ড্রামা 'কিংডম' অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দিনে ছবিটি প্রায় ১৫.৫০ কোটি টাকা আয় করেছে, যা দেবেরাকোন্ডার জন্য একটি শক্তিশালী সূচনা। তবে, এই আয় তার পূর্ববর্তী চলচ্চিত্র 'লাইগার'-এর প্রথম দিনের আয়ের চেয়ে সামান্য কম।
ছবিটি নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকেই দেবেরাকোন্ডার তীব্র অভিনয় এবং সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ এর গতানুগতিক গল্প এবং ধীর গতির জন্য সমালোচনা করেছেন। সমালোচকদেরও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দেবেরাকোন্ডার অভিনয়কে প্রায়শই তার সেরা কাজগুলির মধ্যে একটি হিসাবে প্রশংসা করা হলেও, কিছু সমালোচক ধীর চিত্রনাট্য এবং দ্বিতীয়ার্ধের 'অবাস্তব' অংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
'কিংডম' মুক্তির আগে বেশ কয়েকটি বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছিল, যার মধ্যে উৎপাদন সংক্রান্ত সমস্যা এবং অন্যান্য বাহ্যিক কারণগুলিও ছিল। ছবিটি একটি পরিকল্পিত ডুয়োলজির প্রথম কিস্তি হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলিতে এর বক্স অফিস পারফরম্যান্স ছবির সামগ্রিক সাফল্য এবং ইন্ডাস্ট্রিতে এর প্রভাব নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রথম দিনের বক্স অফিস সংগ্রহে 'কিংডম' দেবেরাকোন্ডার 'খুশি' (১৫.২৫ কোটি টাকা) এবং 'দ্য ফ্যামিলি স্টার' (৫.৭৫ কোটি টাকা) এর মতো ছবিকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে, ২০২২ সালের 'লাইগার'-এর প্রথম দিনের আয় (১৫.৯৫ কোটি টাকা) এটি অতিক্রম করতে পারেনি। তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশে ছবির দর্শক উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল, যেখানে প্রথম দিনে প্রায় ৫৭.৮৭% অকুপেন্সি দেখা গেছে। তামিলনাড়ুতে অবশ্য ছবির প্রতিক্রিয়া কিছুটা কম ছিল, যেখানে প্রায় ১৯.০৭% অকুপেন্সি রেকর্ড করা হয়েছে।
ছবিটি তার অ্যাকশন, ভিজ্যুয়াল এবং দেবেরাকোন্ডার শক্তিশালী অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছে। যদিও গল্প এবং গতির ক্ষেত্রে কিছু সমালোচনা রয়েছে, তবুও এটি দেবেরাকোন্ডার ক্যারিয়ারের একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ছবির শেষাংশে একটি সিক্যুয়েলের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করেছে।