চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই উল্লেখ করেছেন যে এশিয়ার স্থিতিশীলতা বিশ্ব স্থিতিশীলতার ভিত্তি। তিনি আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিসমূহের সংস্থা)-এর সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য চীনের অঙ্গীকারের উপর জোর দেন। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
চীন আসিয়ান-এর সঙ্গে শান্তি, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা এবং উন্নয়নে সহায়তা করতে চায়। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার বজায় রাখতে আসিয়ান-এর কেন্দ্রীয় ভূমিকা সমর্থন করে চীন। একটি আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, চীন এবং আসিয়ান-এর মধ্যে বাণিজ্য বর্তমানে প্রায় ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক। এছাড়াও, চীন আসিয়ান দেশগুলোতে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে, যা আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি করছে।
তবে, এই সহযোগিতার কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনের এই পদক্ষেপগুলি বিশ্ব মঞ্চে তার প্রভাব বিস্তারের একটি অংশ। আসিয়ান দেশগুলোর উচিত চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রেখে তাদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বার্থ রক্ষা করা।
সবশেষে, চীন ও আসিয়ান-এর মধ্যে সহযোগিতা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বিশ্ব শান্তির জন্য অপরিহার্য।