জাপানের সরকারি উপদেষ্টা প্যানেল, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা পরিষদ, দেশের ঋণসেবা খরচ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আর্থিক সংহতি উদ্যোগগুলো জোরদার করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চঋণগ্রস্ত উন্নত জাতি হিসাবে জাপানের জন্য ব্যাংক অফ জাপানের (বিওজে) কঠোর মুদ্রানীতি আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করছে।
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী কাটসুনোবু কাটোর কাছে জমা দেওয়া পরামর্শে পরিষদ জোর দিয়ে বলেছে, সুদহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্ড ক্রয়ের হ্রাস সরকারি বন্ডের রিটার্ন বাড়িয়েছে, যা দেশটির অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বাড়তে থাকা বৈদেশিক ঋণ ও ব্যয় ব্যবস্থাপনার অনিশ্চয়তার মধ্যে সরকারের আর্থিক দৃঢ়তার দৃষ্টান্ত এই বিষয়ে গুরুত্ব বহন করে। যেখানে দেশের উচ্চ ঋণ-অবস্থার কারণে বাজেট সংহতির ওপর বিশেষ আলোকপাত রয়েছে, সেখানে জাপানের এই সুদহার বৃদ্ধি নিজস্ব অর্থনৈতিক চাপের প্রতিফলন হিসেবে গুরুত্ব বহন করে।
স্থানীয় অর্থনীতিবিদরা এই নির্দেশনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মুদ্রানীতি ও বাজেটary শৃঙ্খলার মধ্যে যথাযথ সমন্বয় আনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করছেন, যেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা দুটোই নিশ্চিত করা যায়। জাপানের মতো উন্নত অর্থনীতিও যখন আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে, তাতে আমাদের দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।