কেনিয়ার সাবা-সাবা প্রতিবাদ: বিক্ষোভের কারণ ও তাৎপর্য

সম্পাদনা করেছেন: user2@asd.asd user2@asd.asd

কেনিয়ার ৭ই জুলাই, ২০২৫-এর প্রতিবাদ, যা ব্লগার আলবার্ট ওজওয়াং-এর মৃত্যুর কারণে সংঘটিত হয়েছিল, কেনিয়ার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিক্ষোভগুলি রাষ্ট্রপতি উইলিয়াম রুটোর সরকারের বিরুদ্ধে ছিল এবং সাবা-সাবা আন্দোলনের ৩৫তম বার্ষিকীর সাথে মিলে যায়। বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনী জল কামান, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড তৈরি করে এবং পাথর ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনায় কমপক্ষে দশ জন নিহত হয়েছে এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। ৫২ জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিক্ষোভের মূল কারণ ছিল দুর্নীতি ও পুলিশি বর্বরতা নিয়ে জনগণের অসন্তোষ। কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশন (KNCHR) বিক্ষোভের সময় অপরাধী দলের উপস্থিতির কথা জানায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকোমেন দাবি করেন যে বিক্ষোভগুলিতে অপরাধীরা অনুপ্রবেশ করেছিল। কেনিয়ার পুলিশ অবশ্য অপরাধীদের সঙ্গে সহযোগিতা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অতীতে, কেনিয়ার সাবা-সাবা আন্দোলন ১৯৯০ সালে বহুদলীয় ব্যবস্থা প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। গত বছর দুর্নীতি ও বিতর্কিত বাজেট আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাগুলি কেনিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক অসন্তোষের একটি চিত্র তুলে ধরে। এই বিক্ষোভগুলি সরকারের প্রতি জনগণের অসন্তোষের প্রতিফলন, যা ন্যায়বিচার ও সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে। সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি দেশের স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • Reuters

  • AP News

  • AP News

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।