যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থগিত এবং সাহায্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কারণে গাজার মানবিক সংকট বাড়ছে। বাসিন্দারা জল, বিদ্যুৎ এবং চিকিৎসার মতো প্রয়োজনীয় সম্পদের তীব্র সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে, যেখানে মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশচুম্বী।
গাজায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ বিক্রি বন্ধ এবং সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, পানি সরবরাহ কমে যাওয়ায় প্রায় ৬০০,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জ্বালানির অভাব এবং সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ার কারণে মানবিক সংস্থাগুলো সহায়তা প্রদানে সংগ্রাম করছে।
সাহায্য স্থগিত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা বাড়ছে, যেখানে অনাহারকে যুদ্ধের পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। চলমান সহিংসতা প্রয়োজনীয় জল ও স্যানিটেশন অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা জলের সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। পরিষ্কার জলের প্রাপ্যতা মারাত্মকভাবে সীমিত, অনেকে দূষিত উৎসের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করছে।
সাহায্য ও বিদ্যুতের অবরোধের আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিন্দা জানিয়েছে, যারা যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মানবিক সহায়তা এবং বেসামরিক জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতার উপর জোর দিয়েছে।