ব্রোমইয়ার্ডে, Age UK Wyvern ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ 'শেডস টুগেদার কুকারি ক্লাব' পরিচালনা করছে। এই ক্লাবটি কেবল রন্ধনশৈলী শেখার একটি স্থানই নয়, এটি একটি সামাজিক কেন্দ্রও বটে, যেখানে বয়স্ক ব্যক্তিরা একত্রিত হয়ে নতুন রেসিপি তৈরি করেন, খাবার ভাগ করে নেন এবং একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেন।
প্রতি সোমবার ব্রোমইয়ার্ড মেথোডিস্ট চার্চে এই ক্লাবটি অনুষ্ঠিত হয়। সদস্যরা মাত্র ৩ পাউন্ডের বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি ও উপভোগ করার সুযোগ পান। এই উদ্যোগটি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব মোকাবেলায় বিশেষভাবে সহায়ক। Age UK-এর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে প্রায় ১০ লক্ষাধিক বয়স্ক ব্যক্তি প্রায়শই একাকীত্ব অনুভব করেন, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। এই ক্লাবটি সেই শূন্যতা পূরণে একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।
ক্লাবের অন্যতম সদস্য জনি পাওয়েল দুই বছর ধরে এখানে আসছেন এবং তিনি জানান যে, তিনি বিভিন্ন নতুন রেসিপি শিখেছেন, বিশেষ করে চিকেন সাতাই তার কাছে সেরা মনে হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি সারাজীবন রান্না করেছি, কিন্তু এখানে এসে আমি নতুন দক্ষতা অর্জন করেছি।” ক্লাবের পরিচালনাকারী লিনসি হান্টিং উল্লেখ করেছেন যে, সেশনগুলো সদস্যদের প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো হয়। যদি কেউ দাঁড়িয়ে কাজ করতে সমস্যা বোধ করেন, তবে তিনি বসে সবজি কাটার মতো কাজ করতে পারেন।
স্বেচ্ছাসেবক অ্যাঞ্জেলা রিডার এই ক্লাবটিকে সময় কাটানোর এবং সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করার একটি চমৎকার উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বেভারলি উডিয়াট, যিনি অসুস্থতার পর এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন, এটিকে তার জীবনের একটি “সামাজিক লাইফলাইন” হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং জানান যে, তিনি প্রতি সপ্তাহের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।
এই ধরনের উদ্যোগগুলি বয়স্ক ব্যক্তিদের সক্রিয় এবং সামাজিকভাবে সংযুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রন্ধনclasses শুধুমাত্র নতুন দক্ষতা অর্জনের সুযোগই দেয় না, বরং এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা এই ধরনের কার্যক্রমে অংশ নেন, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং একাকীত্ব কমে আসে। Age UK Wyvern এই ধরনের আরও প্রকল্প যেমন বাগান করা এবং হস্তশিল্পের কর্মশালাও পরিচালনা করছে, যা বয়স্ক ব্যক্তিদের জীবনযাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করছে। এই ক্লাবটি প্রমাণ করে যে, বয়স কেবল একটি সংখ্যা এবং নতুন কিছু শেখা ও সামাজিক বন্ধন তৈরির জন্য কোনো বয়সই বাধা নয়।