সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ঘূর্ণনের অপ্রত্যাশিত ত্বরান্বিত হওয়া লক্ষ্য করেছেন, যা সম্ভবত সবচেয়ে ছোট দিনের রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারে। জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ছোট দিনটি ৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে রেকর্ড করা হয়েছিল, যখন দিনটি ২৪ ঘণ্টার গড়ের চেয়ে ১.৬৬ মিলিসেকেন্ড কম ছিল। এই ত্বরান্বিত হওয়ার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে কিছু গবেষক পরামর্শ দিয়েছেন যে গলিত হিমবাহ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীর ঘূর্ণনকে প্রভাবিত করতে পারে। ২০২৪ সালের একটি নাসা গবেষণায় দেখা গেছে যে গলিত হিমবাহ এবং সমুদ্র স্তরের পরিবর্তন পৃথিবীর ঘূর্ণনের অক্ষ এবং দিনের দৈর্ঘ্যকে প্রভাবিত করে। এই ত্বরান্বিত হওয়া সিস্টেমগুলির জন্য প্রভাব ফেলতে পারে যা সঠিক সময় পরিমাপের উপর নির্ভরশীল, যেমন জিপিএস এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। পূর্বে, পৃথিবীর ঘূর্ণনের পরিবর্তনের জন্য পারমাণবিক ঘড়িগুলিতে সমন্বয় করতে হয়েছে। যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে বৈশ্বিক সময় সমন্বয় বজায় রাখতে একটি লিপ সেকেন্ড যোগ বা বিয়োগ করা প্রয়োজন হতে পারে। বাংলাদেশে, যেখানে সঠিক সময় পরিমাপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, এই পরিবর্তনগুলি মনিটর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই পরিবর্তনগুলির প্রভাব মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, যাতে প্রযুক্তিগত সিস্টেম এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্কের নির্ভরযোগ্যতা বজায় থাকে। এছাড়াও, বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, এই পরিবর্তনগুলির কারণগুলি গভীরভাবে অধ্যয়ন করে এবং উদ্ভাবনী সমাধান বিকাশ করে। এই পরিবর্তনগুলির সাথে মানিয়ে নেওয়া আমাদের দেশের প্রযুক্তিগত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য।
পৃথিবীর ঘূর্ণন ত্বরান্বিত: ছোট দিনের সম্ভাব্য প্রভাব
সম্পাদনা করেছেন: Dmitry Drozd
উৎসসমূহ
Mediafax.ro
Time and Date
NASA Jet Propulsion Laboratory
BBC Sky at Night Magazine
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।