জিম্বাবুয়ের কারিবা রুরালে, একজন কৃষক টেকসই চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করে, বিশেষ করে পরাগায়নকারীদের সমর্থন করে নাটকীয়ভাবে ফসল বৃদ্ধি করেছেন এবং তাদের জীবিকা উন্নত করেছেন। এই উদ্যোগটি আফ্রিকা ও এশিয়ায় পরিবেশগত অবনতি রোধ (REDAA) কর্মসূচি দ্বারা সহায়তা করা হয়েছিল। কৃষক জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো, বিকল্প পরাগায়নকারী ব্যবহার, পরাগায়নকারী জনসংখ্যার পর্যবেক্ষণ, কম্পোস্টিং, জৈব সার উৎপাদন এবং মাটি ও জল সংরক্ষণ সহ বেশ কয়েকটি মূল ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
এই নতুন শেখা কৌশলগুলি ব্যবহার করে, কৃষক প্রয়োজনীয় সেচের পরিমাণ কমাতে, আরও পরাগায়নকারীদের আকর্ষণ করতে এবং আরও ভাল ফলন এবং উচ্চ মানের ফসল ফলাতে সক্ষম হন। তারা কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য অ-রাসায়নিক পদ্ধতিও প্রয়োগ করেছেন, যেমন পরাগায়নকারীদের আকর্ষণ করার জন্য ধনে রোপণ করা। ফলস্বরূপ, কৃষক তাদের ফসলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখেছেন, প্রথম শস্য চক্রে 450 মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছেন। এই অতিরিক্ত আয় তাদের গবাদি পশুতে বিনিয়োগ করতে এবং স্কুলের ফি বহন করতে দিয়েছে।
এই সাফল্যের গল্পটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জীবিকা নির্বাহের উন্নতিতে টেকসই চাষ এবং পরাগায়নকারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়। কৃষক এখন সক্রিয়ভাবে তাদের সম্প্রদায়ের অন্যদেরকে বিকল্প পরাগায়নকারীদের সমর্থন করে এমন চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করছেন। এর অংশীদারদের সাথে, REDAA প্রকল্পটি জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা তৈরি এবং এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে চলেছে। এই প্রকল্পটি অন্যান্য কৃষকদের জন্য একটি উদাহরণ হিসাবে কাজ করে যারা পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি তাদের ফলন এবং জীবিকা উন্নত করতে চান।