থিয়ারো গণহত্যা: ২০২৫ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে সেনেগালে সত্যের সন্ধান

সেনেগালের থিয়ারোয়েতে ১৯৪৪ সালে ফরাসি বাহিনী কর্তৃক সেনেগালীজ সৈন্যদের গণহত্যার সাথে সম্পর্কিত আরও প্রমাণ উন্মোচনের জন্য বর্তমানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য চলছে। এই প্রচেষ্টাগুলি রাষ্ট্রপতি বাসিরু দিওমায়ে ফায়ে এবং প্রধানমন্ত্রী উসমান সোনকো কর্তৃক এই মর্মান্তিক ঘটনার পেছনের সত্য উদঘাটনের প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপ, যা দীর্ঘকাল ধরে সেনেগাল এবং ফ্রান্সের মধ্যে একটি বিতর্কিত বিষয়। সেনেগালীজ প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটি উপ-কমিশন দ্বারা পরিচালিত খননকার্য থিয়ারোয়ে সামরিক শিবিরের ভেতরের একটি স্থানে কেন্দ্রীভূত। অনুসন্ধানের তাৎপর্যের কারণে প্রাথমিক খননকালের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আবিষ্কৃত বস্তুগত প্রমাণ এবং সূত্রগুলি বর্তমানে পরীক্ষার অধীনে রয়েছে এবং গণহত্যার সরকারী বিবৃতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানোর সম্ভাবনা রয়েছে। উপ-কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মুস্তাফা সাল পৃথিবীর ঐতিহাসিক মহাফেজখানা হিসেবে গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তদন্তের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য নো-ফ্লাই জোনসহ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য হল হতাহতের সংখ্যা, তাদের পরিচয় এবং গণহত্যার সঠিক পরিস্থিতি নির্ধারণ করা। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলাফল আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতি ফায়ে-এর কাছে একটি শ্বেতপত্রে উপস্থাপন করা হবে। থিয়ারো গণহত্যা একটি সংবেদনশীল বিষয় রয়ে গেছে, যেখানে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এবং ঘটনা সম্পর্কিত পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। কিছু ইতিহাসবিদের অনুমান, মৃতের সংখ্যা ফরাসি সরকারের দেওয়া ৩৫ জনের চেয়ে অনেক বেশি, যা ৩০০ থেকে ৪০০ পর্যন্ত হতে পারে। চলমান তদন্তের লক্ষ্য হল এই মর্মান্তিক ঘটনার আরও সঠিক বিবরণ দেওয়া এবং সেনেগাল ও ফ্রান্সের মধ্যে পুনর্মিলনকে উৎসাহিত করা।