মিশরে কপ্টিক যুগের মহৎ দেওয়ালচিত্রসহ ভবনের সন্ধান

সম্পাদনা করেছেন: user2@asd.asd user2@asd.asd

একটি মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক দল মানকাবাদ, আসিউট-এ খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ-সপ্তম শতাব্দীর কাদামাটির একটি ভবন আবিষ্কার করেছে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ রঙিন দেওয়ালচিত্র উন্মোচিত হয়েছে। সর্বোচ্চ প্রত্নতত্ত্ব পরিষদ (SCA) এই আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে কপ্টিক শিল্প ও ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে। এই দুইতলা ভবনটি সাদা মোর্তার দিয়ে আবৃত এবং এতে গভীর প্রতীকী অর্থবহ দেওয়ালচিত্র রয়েছে। একটি দেওয়ালচিত্রে বারবার চোখের চিহ্ন একটি মুখকে ঘিরে আছে, যা অন্তর্দৃষ্টি, জ্ঞান এবং সতর্কতার প্রতীক; যা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। অন্য একটি চিত্রে একজন পুরুষ শিশুকে কোলে ধরে আছেন, যিনি বিশ্বাস করা হয় যোসেফ দ্য কার্পেন্টার এবং যীশু খ্রিস্ট, তাদের পাশে শিষ্য ও কপ্টিক লিপি বিদ্যমান, যা পরিবার ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়, যা আমাদের বাঙালি সমাজেও গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত। ভবনের বিন্যাসে প্রথম তলায় সমান্তরাল হল ও কক্ষ রয়েছে, নিচে নামার সিঁড়ি রয়েছে যা নিম্নতলায় সেল ও বসবাসের ঘরগুলিতে নিয়ে যায়। আবিষ্কৃত সামগ্রীগুলোর মধ্যে রয়েছে কপ্টিক লিপিতে এক সাধুর সমাধিপাথর, কপ্টিক অক্ষরে লেখা অ্যাম্ফোরা, প্রাণী অলঙ্করণসহ পাথরের ফ্রিজ এবং বিভিন্ন মাটির বাসন। খনন কাজ চলতে রয়েছে ভবনের রহস্য ও তাৎপর্য উদঘাটনে। মানকাবাদ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা, যা প্রথম ১৯৬৫ সালে চিহ্নিত হয়, মাঝে মাঝে খনন কাজের আওতায় এসেছে; বর্তমান মিশরীয় নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টা এই নতুন আবিষ্কৃত কপ্টিক যুগের স্থাপত্যকে সম্পূর্ণরূপে বোঝার লক্ষ্যে কাজ করছে।

উৎসসমূহ

  • Daily News Egypt

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।