অ্যাডলফ হিটলারের মৃত্যু নিয়ে কয়েক দশক ধরে চলা রহস্য আরও একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তবে ফরেনসিক প্রমাণাদি সরকারি ভাষ্যকেই সমর্থন করে: হিটলার ১৯৪৫ সালের ৩০শে এপ্রিল বার্লিনের বাঙ্কারে আত্মহত্যা করেছিলেন। দক্ষিণ আমেরিকাতে তার পালিয়ে যাওয়ার ক্রমাগত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব থাকা সত্ত্বেও, খুলি ও দাঁতের টুকরোর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বার্লিনে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
যুদ্ধের পরপরই পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের ভুল তথ্য হিটলারের বেঁচে থাকার জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। আর্জেন্টিনার মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে তাকে দেখা গেছে এবং এমন খবরও পাওয়া যায়, যা নাৎসি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পরিচিত ছিল। একটি তত্ত্বে ইউ-3523 সাবমেরিনের কথা বলা হয়, যা আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিতে সক্ষম ছিল এবং তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল। তবে, ২০১৮ সালে ডেনমার্কের উপকূলে সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়, যা এই তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে।
বাঙ্কারের কাছে পাওয়া একটি খুলির অংশের ফরেনসিক পরীক্ষা আত্মহত্যার ঘটনাকে সমর্থন করে। ফরাসি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ফিলিপ শার্লিয়ার নিশ্চিত করেছেন যে খুলির অংশটি হিটলারের দাঁতের রেকর্ডের সাথে মিলে যায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে হিটলার সম্ভবত সায়ানাইড বিষক্রিয়া এবং বন্দুকের গুলির সংমিশ্রণে মারা গেছেন। এই ফলাফলগুলো হিটলারের পালানোর তত্ত্বের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ দেয় এবং বার্লিনের বাঙ্কারে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।