প্রাচীন মিশরের 'চিৎকার করা মমি': নতুন গবেষণায় ১৯৩৫ সালের আবিষ্কারে সম্ভাব্য মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রকাশ

সম্পাদনা করেছেন: Ed_dev Ed

১৯৩৫ সালে মিশরের দেইর এল-বাহরিতে আবিষ্কৃত "চিৎকার করা মমি"-র রহস্য সম্ভবত অবশেষে সমাধান হতে চলেছে। মমিটির বিকৃত মুখ দীর্ঘদিন ধরে একটি বেদনাদায়ক মৃত্যুর ইঙ্গিত দিয়েছে। মিশরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ সাহার সালিমের নেতৃত্বে ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় মমিটি পরীক্ষা করার জন্য উন্নত সিটি স্ক্যান প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। স্ক্যান থেকে জানা যায়, মহিলার বয়স আনুমানিক ৪৮ বছর এবং উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ছিল। তিনি বাতের ব্যথায়ও ভুগছিলেন। গবেষকরা মনে করেন, তার মুখের অভিব্যক্তি ক্যাডাভারিক স্পাজমের কারণে হতে পারে, যা চরম ব্যথা বা মানসিক কষ্টের কারণে মৃত্যুর পরপরই ঘটে যাওয়া একটি পেশীর কাঠিন্য। এতে বোঝা যায় যে তিনি হয়তো চরম যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে মারা গিয়েছিলেন, যার কারণে মমি করার সময় তার মুখ বন্ধ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। একটি সাধারণ কাঠের কফিনে কবর দেওয়া সত্ত্বেও, মহিলাকে ধূপ এবং জুনিপার সহ মূল্যবান উপাদান দিয়ে embalm করা হয়েছিল। অস্বাভাবিকভাবে, তার অঙ্গগুলি অক্ষত রাখা হয়েছিল, যা নতুন রাজ্যের সাধারণ মমি তৈরির রীতির থেকে ভিন্ন। এটি এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে যে অঙ্গ ভিতরে রেখে দিলে দুর্বল সংরক্ষণ হয়। যদিও তার পরিচয় এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা, তবে এই গবেষণা একজন প্রাচীন মিশরীয় মহিলার সম্ভাব্য মর্মান্তিক শেষ মুহূর্তগুলোর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।