৮ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে রিজার্ভ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়া (আরবিএ) তাদের অফিসিয়াল ক্যাশ রেট ৩.৮৫% -এ অপরিবর্তিত রাখে। এই সিদ্ধান্ত আর্থিক বাজারের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে ছিল, যা বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
আরবিএ-এর এই সিদ্ধান্তের পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল। বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে ভোটের বিভাজন ছিল এবং বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তাও একটি বড় কারণ ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানির উপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন, যা অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এই পরিস্থিতিতে আরবিএ-এর নীতিনির্ধারকদের সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঐতিহাসিকভাবে, অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে অর্থনীতিবিদরা সুদের হার কমানোর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আরবিএ সেই পথে না গিয়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি পায়, যা বাজারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, আরবিএ-এর এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া নতুন নয়। অতীতেও তারা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুদের হারে পরিবর্তন এনেছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি যখন মন্দার দিকে যাচ্ছিল, তখন আরবিএ সুদের হার কমিয়ে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। একইভাবে, বর্তমান পরিস্থিতিতেও তারা ডেটা-নির্ভর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মূল্য স্থিতিশীলতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আরবিএ-এর পরবর্তী নীতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে তারা সর্বশেষ অর্থনৈতিক তথ্য পর্যালোচনা করবে। এই সিদ্ধান্তগুলি আরবিএ-এর ডেটা-নির্ভর মুদ্রানীতির প্রতি অঙ্গীকারকে তুলে ধরে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মূল্য স্থিতিশীলতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।