প্রযুক্তির এই যুগে, সোনা শুধু ধন-সম্পদের প্রতীক নয়, আমাদের দৈনন্দিন বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির কার্যক্রমে অপরিহার্য উপাদান। তবে, ঐতিহ্যবাহী খনন পদ্ধতিতে সোনার উত্তোলন প্রক্রিয়া প্রায়শই পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সৌভাগ্যক্রমে, বিশ্বব্যাপী কিছু গবেষক পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিন বর্জ্য থেকে সোনা পুনরুদ্ধারের নতুন উপায় উদ্ভাবন করছেন।
ধরা যাক, পুরনো কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনকে সোনালী গহনা হিসেবে রূপান্তর করা হচ্ছে, যা পরিবেশের ক্ষতি না করে। এটি বাস্তবে পরিণত হচ্ছে ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের মাধ্যমে। তারা একটি নিরাপদ এবং টেকসই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যা পানির জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত ট্রাইক্লোরোইসোসায়ানুরিক অ্যাসিড (TCCA) এবং একটি সালফার সমৃদ্ধ পলিমার ব্যবহার করে সোনা পুনরুদ্ধার করে। এই পদ্ধতিতে বিষাক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার এড়ানো যায় এবং পলিমারটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় প্রক্রিয়াটি পরিবেশবান্ধব হয়।
ইথ জুরিখের ETH বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ওয়েই প্রোটিন থেকে তৈরি একটি পলিমার ফাইব্রিল স্পঞ্জ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিন বর্জ্য থেকে সোনা পুনরুদ্ধার করেছেন। এই পদ্ধতি খাদ্য শিল্পের একটি উপপণ্যকে কাজে লাগিয়ে সোনার উত্তোলন প্রক্রিয়াকে আরও টেকসই করেছে।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল মিন্ট দক্ষিণ ওয়েলসে একটি নতুন কারখানা খুলেছে, যা বৈদ্যুতিন বর্জ্য থেকে সোনা পুনরুদ্ধার করে। এই উদ্যোগটি ঐতিহ্যবাহী খনন পদ্ধতির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং পরিবেশের উপর প্রভাব কমাতে সহায়তা করে।
এই উন্নয়নগুলি আমাদের জন্য একটি আশার আলো, যেখানে উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রিত হচ্ছে। সোনা, যা সৌন্দর্য এবং মূল্যবোধের প্রতীক, এখন দায়িত্বশীলভাবে পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে, পরিবেশের উপর প্রভাব কমিয়ে এবং পুনর্ব্যবহার এবং টেকসইতার সংস্কৃতি প্রচার করছে।