নতুন গবেষণা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ এবং ধূমপানের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক প্রকাশ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ধূমপায়ীরা প্রায়শই অধূমপায়ীদের তুলনায় বেশি মানসিক চাপের সম্মুখীন হন। এই চক্রটি নিকোটিনের আসক্তির দ্বারা চালিত হয়, যেখানে ধূমপানের মাধ্যমে সাময়িক স্বস্তি পাওয়ার পর প্রত্যাহারের কারণে সৃষ্ট চাপ আবার ধূমপানে প্ররোচিত করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি দীর্ঘমেয়াদী সমীক্ষা অনুসারে, পরিবার, অর্থ এবং কর্মক্ষেত্র থেকে আসা মনস্তাত্ত্বিক চাপ ধূমপান চালিয়ে যাওয়া এবং ধূমপান ত্যাগের ব্যর্থ প্রচেষ্টার সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত। আর্থ-সামাজিক পটভূমি নির্বিশেষে, উচ্চ মানসিক চাপ ধূমপান চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ করে তোলে। মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া এবং মনোযোগের ঘাটতিও পুনরায় ধূমপান শুরু করার হারের সাথে যুক্ত। যারা মানসিক চাপ-প্ররোচিত ঝুঁকি গ্রহণ বা বিক্ষিপ্ততার প্রবণতা দেখান, তারা ধূমপান ছাড়ার পর আবার ধূমপানে ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি। এই প্রবণতা বিশেষভাবে তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
মনোযোগ সহকারে শ্বাস নেওয়া, অল্প সময়ের জন্য শারীরিক কার্যকলাপ এবং পর্যাপ্ত জল পান করা ধূমপান ত্যাগে সহায়তার জন্য প্রস্তাবিত মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনার কৌশল। বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেছেন যে ধূমপান ত্যাগ শুধুমাত্র ক্যান্সারের ঝুঁকিই কমায় না, সময়ের সাথে সাথে মানসিক চাপও কমিয়ে দেয়, যার ফলে মেজাজ উন্নত হয় এবং উদ্বেগ কমে যায়।
অতিরিক্ত গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টা করেন তাদের মধ্যে প্রায় ৭০% লোকই মানসিক চাপের কারণে পুনরায় ধূমপান শুরু করেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে মানসিক চাপ মোকাবেলা করার কার্যকর কৌশলগুলি ধূমপান ত্যাগের প্রচেষ্টায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত ধ্যান বা যোগব্যায়াম করেন, তাদের ধূমপান ত্যাগের সম্ভাবনা বেশি থাকে কারণ তারা মানসিক চাপকে আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেন। এই বিষয়গুলো ধূমপান ত্যাগের প্রক্রিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।