১০ই অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে ঘানার শীর্ষস্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্মেলন, দ্য হোলসাম মাইন্ড এক্সপেরিয়েন্স, অ্যাক্রা সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডের পুনর্গঠন কাজের সূচনা করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঘানায় প্রথম সাইকিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (PICU) স্থাপন করা হবে। এই PICU ইউনিটটি তীব্র মানসিক স্বাস্থ্য সংকটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত যত্ন প্রদান করবে, যা একটি নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এই প্রকল্পের জন্য ৪ মিলিয়ন ঘানায়ান সিডি (GHS) অর্থ সংগ্রহের একটি অভিযান শুরু হয়েছে। এক্সপ্রেসপে, গোফান্ডমি এবং এমটিএন মোবাইল মানির মতো বিভিন্ন মাধ্যমে অনুদান গ্রহণ করা হচ্ছে। "সকল বয়সের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা" শীর্ষক এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। এতে প্যানেল আলোচনা এবং সুস্থতা বিষয়ক বিভিন্ন কার্যকলাপের আয়োজন করা হবে। আয়োজকরা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি এবং সঠিক পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তারা বলেন, "এটা তাদের মনে করিয়ে দেওয়ার সময় যে তারা ভুলে যায়নি।"
এই প্রকল্পটি একটি "Worthwhile Cause" হিসেবে মনোনীত হওয়ায়, প্রাপ্ত অনুদান করযোগ্য হবে। সাইকিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (PICU) হলো এমন একটি বিশেষায়িত কেন্দ্র যা গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা প্রদান করে। এই ইউনিটগুলি তীব্র মানসিক অস্থিরতা, আত্মঘাতী প্রবণতা বা আক্রমণাত্মক আচরণের মতো গুরুতর পরিস্থিতিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়, যেখানে তাদের নিরাপত্তা এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ নিশ্চিত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন পরিবেশে যত্ন নেওয়া উচিত যা নিরাপদ, সম্মানজনক এবং তাদের অধিকার রক্ষা করে। এই PICU-এর পরিকল্পনা এই মানকেই প্রতিফলিত করে, যাতে সবচেয়ে দুর্বল রোগীরা কেবল চিকিৎসাই নয়, মর্যাদা সহকারে জীবনযাপন করতে পারে। এই উদ্যোগটি ঘানার মানসিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এর ফলে, দেশের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হবে এবং সংকটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি হবে। এই প্রকল্পের জন্য অনুদানগুলি আয়কর আইন, ২০১৫ (অ্যাক্ট ৮৯৬) এর ধারা ১০০ এর অধীনে কর ছাড়ের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে, যা দাতাদের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা। এই উদ্যোগটি ঘানার মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।